চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ছাড়ল মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই তিন শ্রেণীর ছয়টি ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে চলাচল শুরু করে। এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করেছিল। অন্যদেিক, আগামী ১৫ আগস্ট থেকে চলবে আন্তঃনগর ট্রেন। সোমবার বিকাল ৫টা থেকে এসব ট্রেনের অগ্রিম টিকিটও বিক্রি শুরু হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গত ১১ আগস্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন এবং ১৫ আগস্ট থেকে আন্তঃনগর ট্রেন পর্যায়ক্রমে চলাচল করবে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ১২ আগস্ট বিকেল ৫টা থেকে ক্রয় করা যাবে। তবে পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছয়টি রেল ছেড়ে যায়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী সাগরিকা এক্সপ্রেস সকাল ৮টায়, চট্টগ্রাম-ঢাকা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে,
চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটের লোকাল ট্রেন বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের মেইল ট্রেন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা। তাছাড়া, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দুপুর ১২টার দিকে হাটহাজারি ও দোহাজারীর উদ্দেশ্য দুটি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়। এর আগে গত সোমবার ট্রেন চলাচলের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ৩টি কন্টেনারবাহী ট্রেন এবং ৫টি তেলবাহী ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রেল চলাচল বন্ধ হওয়ার পর গত সোমবার প্রথমদিন পণ্যবাহী ও তেলবাহী রেল চলাচল শুরু করে। গতকাল থেকে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালানো হয়। আগামী ১৫ আগস্ট থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে গত সোমবার দোহাজারী ও হাটহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি তেলের ওয়াগন ছেড়ে গেছে। সিজিপিওয়াই থেকে ৩টি তেলের ওয়াগন এবং ৩টি কন্টেনারবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে। তাছাড়া, গত সোমবার বিকাল ৫টা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৫ আগস্ট থেকে সকল আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। সব ট্রেন সুন্দরভাবে যাত্রা করেছে।
জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই দেশের বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হলে ট্রেন চলাচলে বিঘœ ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ১৯ জুলাই সরকারের কারফিউ জারি করার পর থেকে সারাদেশে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছিল। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গত সোমবার থেকে কন্টেনার ট্রেন ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ থেকে চলছে মেইল, লোকাল, ও কমিউটার ট্রেন। আগামী ১৫ আগস্ট থেকে চলবে সকল আন্তঃনগর ট্রেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম