চট্টগ্রামে গত পাঁচ দিন ধরে কখনো থেমে কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জমে যায় পানি। ফলে বৃষ্টিতে নাকাল জনজীবন। এতে শিক্ষার্থী, অফিসগামী ও সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে, এমন হালকা ও ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধস কিংবা ভূমিধসও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১২৩ মিলিমিটার। তবে গতকাল সকাল ৯টার পর থেকে বাড়তে থাকে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে নগরবাসীকে পোহাতে হয়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিও। একই সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে দেওয়া ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে পাহাড়ধসের।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা ঈসমাইল ভূঁইয়া বলেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সকাল ১০টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে পাহাড় ধসেরও সম্ভাবনা আছে। তবে আগামী পরশু থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতও কমে আসবে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব কমে আসায় মৌসুমী বায়ু সক্রিয় আছে। এছাড়াও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে উপক‚লে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।
জানা যায়, সকাল থেকেই চট্টগ্রামে বৃষ্টি বেড়ে যায়। ফলে নগরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এবং অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে।
নগরের খলিফাপট্টি এলাকার বাসিন্দা আরাফাত বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে বাসা থেকেও বের হওয়া যাচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এএম