ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দুটি লাইন আছে। বন্যার কারণে একটি লাইন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম-ঢাকা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে গতকাল সোমবার রাত থেকে একটি লেন দিয়ে রেল চলাচল শুরু হয়। অপর লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা এখনও বন্ধ আছে। সংস্কারের কারণে একটি লাইন দিয়ে চলাচল করছে না সাতটি ট্রেন। বন্ধ রাখা ট্রেনগুলো হলো- সুবর্ণ এক্সপ্রেস, উদয়ন, চট্টলা, মহানগর, মেঘনা, কক্সবাজার ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে গতকাল সকাল ৭টায় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টায় ছাড়ে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ে সকাল ১০ টায়। বিকেল ৩টায় মহানগর গোধুলি যায় ঢাকায়। বিকাল সাড়ে ৫টায় ছাড়ে নাজিরহাট লোকাল ট্রেন। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ১২টার দিকে মালবাহী দুটি রেল হাটহাজারী ও দোহাজারীর উদ্দেশ্য ছাড়ে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার রাত থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আপাতত এক লেনে ট্রেন চলছে। আরেকটি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি সংস্কারের কাজ চলছে। মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করছে। বন্যার পানিতে ফেনীর ফাজিলপুর এলাকায় রেলপথ ডুবে যাওয়ায় ওই দিন দুপুর থেকে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল