চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে বিএনপি। আজকে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন আমাদের সামনে কিন্তু বড় সংগ্রাম, বড় লড়াই। সেই লড়াইটা এই বিপ্লবের বিজয়কে সুসংহত করা। এই বিজয়কে যদি আমরা সুসংহত করতে না পারি আবার নব্য ফ্যাসিবাদ এসে হাজির হবে। আজকে কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অন্য কিছু করে, ক্ষতি করতে চায়, সেটা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রুখে দিতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে।
মঙ্গলবার নগরীর কাজীর দেউরী দলীয় কার্যালয়ের মাঠে প্রস্তুতি সভায় একথা বলেন।
এসময় নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এসএম আবুল ফয়েজ, এসএম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, আরইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তারমধ্যে ৩১ আগষ্ট রাঙ্গুনিয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল ও শ্রদ্ধা নিবেদন। ১ সেপ্টেম্বর কাজীর দেউরী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে আলোচনা সভা ও ৪৩ ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং মাইকে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ প্রচার। ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বর্নাঢ্য র্যালী। ৩ সেপ্টেম্বর বিগত ১৫ বছরে আন্দোলন সংগ্রামে নিহত ও সাম্প্রতিক বন্যায় হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিল। একই সাথে ৪৩ টি ওয়ার্ডের মসজিদেও সুবিধামত সময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম