চট্টগ্রামে ১৮ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ ও সহযোগিতার দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাছাড়া পৃথক মামলায় শিশু ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবার এ রায় দেয়া হয়।
জানা যায়, চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার মরগাং গ্রামে ১৮ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ ও সহযোগিতার দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. নাজমুল (২৭), মো. রিয়াজ (২৮), মো. দুলাল (২৭) ও জামশেদ (২৪)। রায়ের সময় মো. নাজমুল, মো. রিয়াজ ও জামশেদ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মো. দুলাল রায়ের সময় অনুপস্থিত ছিলেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এমএ নাসের চৌধুরী বলেন, আট সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. নাজমুল ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. রিয়াজ, মো. দুলাল ও জামশেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অথর্দণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
অন্যদিকে, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ১২ বছরের এক শিশুকে মোবাইল নম্বর লিখে দিতে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রিপন হাওলাদার (৩৬) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন, পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ বলেন, ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. রিপন হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর একটি বাসায় ১২ বছরের এক শিশুকে মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়ার কথা বলে মো. রিপন হাওলাদারের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করে মো. রিপন। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে ৯ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৯ সালের ৩০ মে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম