চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটায় দুইজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. হাসান হাছিবুর রহমানসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলার কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও থানাগুলো পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে উঠার ব্যয়িত সময়ের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতিকারী চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিম পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন এবং জরিমানা করেন।
পরিদর্শনকালে দু’জনকে পাহাড় কাটা অবস্থায় হাতে নাতে ধরা হয়। এ সময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় অপরাধী একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম বলেন, পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাশ করা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোন ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না, তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোন পাহাড় ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না। যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন তাদের আগামী সাতদিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যেতে হবে। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম