চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন ৪ হাজার সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী। ১৮০টি ট্রাম ট্রাক ব্যববহারের পাশাপাশি ছিটানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার। আবর্জনা দ্রুত অপসারণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন নগরবাসী।
সম্প্রতি সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, চট্টগ্রামে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। ঘোষণা বাস্তবায়ন শনিবার (৭ জুন) ঈদের সকাল থেকে ৪১টি ওয়ার্ডে মাঠে নামেন ৪ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নকর্মী। ১৮০টির বেশি ট্রলি, ড্রাম ট্রাকসহ নানা পরিবহন পুরোদমে চলছে বর্জ্য অপসারণ। দুর্গন্ধ ঠেকানো, রক্ত ও বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কারে ছিটানো হয় ব্লিচিং পাউডারসহ নানা ক্যামিকাল। দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সন্তুষ্টি নগরবাসী।
নগরবাসীর সেবা ও পরিচ্ছন্নতা কাজের তদারকিতে মেয়র খোদ নিজেই নেমে পড়েন মাঠে। চষে বেড়ান নগরীর নানা রাস্তাঘাট ও অলিগলি। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সুষ্ঠুভাবে তদারকিতে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দামপাড়া গেস্ট হাউসে খোলা হয় কন্ট্রোল রুম।
মেয়র বলেন, আমি আগেই ঘোষণা দিয়েছি ৮ ঘণ্টার মধ্যে নগরী ক্লিন হবে। তবে তার আগেই আমরা কাজ শেষ করতে চায়। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে চায়। ক্লিন ও গ্রিন চট্টগ্রাম গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে সবাইকে।
প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৪ হাজার দুইশো পরিচ্ছন্নকর্মী মাঠে রয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। ১৮০টি ড্রাম ট্রাক মাঠে কাজ করছেন তারা। প্রতিটি ওয়ার্ডকে আমরা ভাগ করে দিয়েছি। যাতে কাজ দ্রুত হয়।’
এর আগে ঈদের নামাজ শেষ হওয়ার পর পরই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শুরু হয় পশু কোরবানি। নির্ধারিত স্থান না থাকায় পাড়া- মহল্লার বাসা-বাড়ির নিচেই পশু কোরবানি সম্পন্ন হয়। যারা উন্মুক্ত স্থানে কোরবানি দিয়েছেন তারা নিজেরাই সব আবর্জনা পরিষ্কার করে নিয়েছেন।
এবার নগরী এবং জেলায় সাড়ে ৯ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন