চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আশিয় ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে ভাতিজাকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে আপন চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ জুন) দুপুরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজন হলেন- নাছির উদ্দীন চৌধুরী (৫২) ও তার ভাতিজা আরিয়ান চৌধুরী (১৪)। মৃত আরিয়ান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সে নাছির উদ্দীনের ছোট ভাই আইয়াছ উদ্দীন বাহারের ছেলে। তাছাড়া, পৃথক ঘটনায় পানিতে পড়ে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরি সূত্রে আইয়াজ উদ্দিন বাহার রাউজানে চুয়েটের পাশে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে তারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। দুপুরে চাচা নাছির উদ্দীন ভাতিজা আরিয়ানকে নিয়ে গোসল করতে নিজেদের বাড়ির পুকুরে নামেন। দীর্ঘসময় ফিরে না আসায় তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুজনকে পুকুরে ভেসে উঠতে দেখা যায়। পরিবারের লোকজন তাদের দ্রুত পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল কান্তি দাশ বলেন, দুজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এরপরও ইসিজি করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আমাদের ধারণা, ঘটনাস্থলেই তারা মারা গেছেন। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। সাঁতার শেখাতে ভাতিজাকে নিয়ে পুকুরে নেমেছিলেন চাচা।
লোহাগাড়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
এদিকে, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের বার আউলিয়া কলেজ সংলগ্ন বার আউলিয়া ব্রিকস নামের ইটভাটার পুকুরে ডুবে মোহাম্মদ তানজিম (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তানজিম উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মীর পাড়ার মাওলানা কাইছারের ছেলে। সে হেফজখানায় পড়তো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে দুপুরে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে বের হয়। খেলার সময় বলটি ইটভাটার পুকুরে পড়ে যায়। পরে সেই পুকুরে জাল দিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. পার্থ বলেন, রাত ৯টার পর পানিতে ডুবে যাওয়া একটা শিশুকে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ