চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগর থেকে দুই দিনে কোরবানির পশুর ১০ হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করেছে। কোরবানির দিন সন্ধ্যার মধ্যে নগরের অধিকাংশ বর্জ্য অসপারণ করা হয়েছিল।
বর্জ্য অপসারণে এবার চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের চার হাজারেরও বেশি কর্মী মাঠে কাজ করেছেন। চসিক মেয়র ঈদের নামাজ শেষে নগরের বিভিন্ন এলাকার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, কাজীর দেউড়ি, আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়া, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পরপরই মানুষজন নিজ উদ্যোগে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে রেখেছেন। চসিকের কর্মীরা সেই বর্জ্য দ্রুত ট্রাকে তুলে নিচ্ছেন। বর্জ্য পরিষ্কারের পর দুর্গন্ধ ও জীবাণু ছড়ানো রোধে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়।
এবার বর্জ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হয়েছে ৩৬৯টি যানবাহন বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত ছিল। এর মধ্যে ছিল ট্রলি, ড্রাম ট্রাক, ডাম্পার ও পে-লোডারসহ বিভিন্ন আধুনিক যানবাহন। রক্ত পরিষ্কারে ছিল পানির ভাউচার।
চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এবার কোরবানির সময় প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। যেখানে চামড়া সংগ্রহ করা হয় সেখানেই আমরা গিয়েছি। আমরা যে বর্জ্য অপসারণে যে সময়সীমা দিয়েছিলাম তা অত্যন্ত সন্তোষজনক।
তিনি বলেন, অনেকে দেরিতে পশু কোরবানি দিয়েছেন অথবা পরের দিনও দিয়েছেন, সে ব্যাপারেও আমাদের প্রস্তুতি ছিল। এলাকাবাসীও বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করেছেন। আমরা সকাল থেকে রাত অবধি মনিটরিং রুম থেকে বর্জ্য অপসারণ সার্বক্ষণিক তদারকি করেছি।
চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, কোরবানির দিন সকাল থেকেই পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছি। সকল জনবল ও যানবাহন প্রস্তুত ছিল। নগরবাসীর সহযোগিতায় আমরা দ্রুততম সময়ে পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। এবার চসিকের চার হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নকর্মী মাঠে বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডকে ভাগ করে কাজ করা হয়। কোরবানির দিন ও পরের দিন মিলে মোট প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম