সিলেটে স্কুল ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি মুহিব হোসেন মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এছাড়া তার মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ এ আদেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুল মালেক জানান, আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত পলাতক আসামি মুহিব হোসেন মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণার পাড় সুনাতলা এলাকার সবুজ-৩৭ নম্বর বাসা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৫ মার্চ নিহতের বাবা আব্দুল মতিন বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা ও মুহিব হোসেন মাসুম। এদের মধ্যে মাসুম পলাতক রয়েছেন। জেলহাজতে থাকা তিন জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ