আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ''পুলিশ ঘরে ঘরে পাহারা দিয়ে পারবে না, তাদেরকেও নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা বলয় তৈরি করতে হবে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, এক্ষেত্রে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক থাকবে, সহযোগিতা থাকবে। কিন্তু তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
আইজিপি বলেন, “আমাদের প্রতিটি ব্যক্তির সেন্স অব সিকিউরিটি থাকতে হবে। তার নিজের নিরাপত্তা, প্রতিবেশীর নিরাপত্তা, এলাকার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”
জোড়া খুনের বিষয়ে তিনি বলেন, “অত্যন্ত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ধারণা করছি, রেকি করে খুনিরা খুনের পরিকল্পনা করেছে। জায়গাটা যথেষ্ট সিকিউরড। খুনিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশ থেকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হলে তাদের ধরা যেত।”
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হলে তা ঠেকাতে না পারায় গোয়েন্দাদের কাজের ঘাটতি ধরা পড়েছে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, “গোয়েন্দারা ‘মাইক্রো’ লেবেলের কাজ ডিল করে না। একটা ব্যক্তিকে কখন কীভাবে হত্যা করা হবে সেটা ধরা গোয়েন্দাদের কাজ নয়। একটা সামগ্রিক বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করে; মনে করেন, জঙ্গিদের তৎপরতার বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করে।
“জঙ্গিরা কোথায় গিয়ে কী করবে সেটা সূত্র না পেলে জানার প্রযুক্তি তো আমাদের হাতে নাই। তাই এটাকে ইন্টেলিজেন্টের ব্যর্থতা বলব না। তাদের সফলতা আছে বলেই আমরা অনেক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছি। এই হত্যাকাণ্ডেও অতীতের ‘জঙ্গি হামলার’ মিল রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ প্রধান।
খুনিদের ধরার বিষয়ে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের দক্ষ ইনভেস্টিগেটর আছে। অতীতে জঙ্গিরা যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব ঘটনায় অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনায়ও অপরাধীদের চিহ্নত করা সম্ভব হবে। পুলিশের দায়িত্ব অপরাধী ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সেটি আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা করব।”
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এক দল দুর্বৃত্ত কলাবাগানের বাসায় ঢুকে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব তনয়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব