রাজধানীর কলাবাগানে গতকাল সোমবার জোড়া খুনের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ব্যাগে নয় ধরনের আলামত পাওয়া গেছে। খুনের পর কয়েকজন যুবক পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের একজনের কাছ থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন কলাবাগান থানার পুলিশের এক সদস্য।
এ সময় যুবকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন কলাবাগান থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মমতাজ। এ ঘটনায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলার বাদী কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামিম আহমেদ। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
আদালতে পাঠানো ওই মামলার বিবরণে বলা হয়, হত্যায় অংশ নেওয়া সন্দেহভাজন এক দুর্বৃত্তের কাছ থেকে একটি ব্যাগ জব্দ করেছে পুলিশ। ব্যাগের মধ্যে পিস্তল, ম্যাগাজিন, গোলাকৃতির আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি, লাল চেক গামছা, পুরোনো লুঙ্গি, কাপড়ের টুপি, বাংলা ও আরবি লেখা সাদা কাগজের টুকরো ও অফিশিয়াল ব্যাগ পাওয়া গেছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, কলাবাগানের জনৈক রাশেদ মোশারফের বাসার সামনে পাঁচ-ছয়জন সন্দেহভাজন যুবককে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের কাঁধে ব্যাগ ছিল। গায়ে ছিল একই রঙের টি-শার্ট। একপর্যায়ে এএসআই মমতাজ তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। তবে তিনি একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন। পরে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়।
গতকাল কলাবাগানে বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে কর্মরত ছিলেন। সমকামীদের অধিকার-বিষয়ক সাময়িকী 'রূপবান'-এর সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তনয় মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ