রাজধানীর মিরপুরে কমার্স কলেজে 'প্রেমের প্রস্তাব' নিয়ে ভর্তি বাতিল হওয়া নয় শিক্ষার্থীকে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বহিষ্কৃত প্রেমিক যুগলের শাস্তি মওকুফ করেনি কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৬ মে) কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ বলেন, ''ভর্তি বাতিলকৃত ওই নয় শিক্ষার্থীর মানবিক দিক বিবেচনা করে শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিভাবকরা আমাদের কাছে এসেছিলেন। তারা নিশ্চিত করেছেন এমন ভুল তারা আর করবে না। আর বহিষ্কৃতদের ভুল ক্ষমা করা হয়নি।''
তিনি বলেন, ''সিদ্ধান্তটা হয়েছে গভর্নিংবডি, ম্যানেজিং কমিটি সবার উপস্থিতিতেই। আমরা তাদের ক্ষমা করতে পারি না। আর সারাদেশে বেসরকারি কলেজের মধ্যে আমরা এবারই শ্রেষ্ঠ হয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের একটা ইমেজ আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের ইমেজ নষ্ট করে।''
৯ শিক্ষার্থীকে সুযোগ দেয়ার পর আজই পুনরায় ভর্তি হয়েছে আট শিক্ষার্থী। অন্য একজন আগামীকালের মধ্যে ভর্তি হয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বিষয়টি গড়িয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পর্যন্ত। তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
সম্প্রতি কমার্স কলেজের এক ছাত্র আরেক ছাত্রীকে আংটি পরিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরপর তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। এসময় অন্য বন্ধুরা হাতে হাত ধরে তাদেরকে ঘিরে রাখে। পরে সেই ঘটনার ভিডিও চিত্রও মোবাইলে ধারণ করে আপলোড করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় অভিযুক্ত ১১জনই ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসবুরা সামিহা কায়নাত এবং শাফিন আহমেদ খান ছিলেন ঘটনার মধ্যমনি। বাকি নয়জন তাদের বন্ধু ও সহপাঠি।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেই দু'জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও বাকি ৯ জনের ভর্তি বাতিল করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সাথে কলেজের সব শিক্ষার্থীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সেই প্রেম প্রস্তাবের ভিডিও:
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ