বরিশাল শিক্ষা বোর্ড ‘হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়ের ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনায় দুই প্রধান পরীক্ষকের মাসিক বেতন বন্ধের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে সুপারিশ করেছে। আজ এই সুপারিশ সংবলিত একটি চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ থেকে তাদের আজীবন বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালে ঐ দুই পরীক্ষকের এসএসসি’র পারিশ্রমিকও আটকে দেয়া হয়েছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ১১ মে এসএসসি’র ফল প্রকাশের দিন নগরীর উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সর্বজিৎ ঘোষ নামে এক শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম বিষয়ে ফেল করার খবর পেয়ে উচু ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর বোর্ডের বিভিন্ন স্কুল থেকে অস্বাভাবিক ফেলের খবর আসে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে ত্রুটি ধরা পড়ে। হিন্দু ধর্ম বিষয়ের ‘খ’ সেটের নৈর্বিত্তিক উত্তরপত্র পুনমূল্যায়নে ১ হাজার ১শ’ ৪১ শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাশ করে। ওই ফলে নিহত সর্বজিৎও ৪.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ন হয়।
এ ঘটনায় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ হিন্দু ধর্ম বিষয়ক দুই প্রধান পরীক্ষক বরিশাল বিএম স্কুলের জুরান চন্দ্র চক্রবর্তী এবং বাকেরগঞ্জের বিবিচিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিরেন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়।
বিডি প্রতিদিন/ ১৬ মে, ২০১৬/ হিমেল-১৮