খুলনা-মংলা রেললাইন, খুলনা অর্থনৈতিক জোন ও বাগেরহাটের রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় বিদেশ (এক্সটারনাল) মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমায় খুলনা-মংলা রেল লাইন প্রকল্প ও খুলনা অর্থনৈতিক জোন পরিদর্শন করেন আট সদস্যের প্রতিনিধি দলটি। এসময় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অজিত ভেনায়েক গুপ্ত, উপ-সচিব প্রেম কে নীর, আন্ডার সেক্রেটারি ভিপুল কুমার মিশরী এবং ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধি বরুন শর্মা, অজয় রানা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা-মংলা রেল লাইন প্রকল্পের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন জানান, ১০৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপসা নদীর উপর রেল সেতু ও সংযোগ রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। মূল সেতু হবে ৭১৬ দশমিক ৮ মিটার, যা’ সংযোগ রেললাইনসহ দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের অর্থায়নে খুলনা-মংলা রেলপথ প্রকল্পে ফুলতলা থেকে মংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন হবে। এগুলো হচ্ছে-ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালী, চুলকাঠি, ভাগা, দিগরাজ ও মংলা। এছাড়া খুলনার জলমা, বাগেরহাট ও মংলায় ভারতীয় অর্থায়নে তিনটি অর্থনৈতিক জোন নির্মানের প্রস্তাব রয়েছে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল কয়েকটি অর্থনৈতিক জোন পরিদর্শন করেছেন।
খুলনায় রেল ও অর্থনৈতিক জোন প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অজিত ভেনায়েক গুপ্ত বলেন, দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়ক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময় এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক জোনসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেগুলো বাস্তবায়নের সম্ভাবনা যাচাই করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ১৮শ’ একর জমির ওপর ভারত-বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। তবে এ প্রকল্পে সুন্দরবনের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বলে তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আন্দোলন করে আসছে। এ সম্পর্কে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অজিত ভেনায়েক গুপ্ত বলেন, গত কয়েকবছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তারপরও তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ জুন, ২০১৬/ আফরোজ