অবৈধভাবে ঘি তৈরির কারখানা আবিষ্কার করেছেন চট্টগ্রামের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাম অয়েল, মাস্টার গাম, এক ধরনের কেমিক্যাল, ফ্লেভার, রং দিয়ে ‘বাঘাবাড়ী আসল গাওয়া ঘি’ তৈরি করার এসব প্রমাণ মিলে। রবিবার সকালে নগরীর বাকলিয়া থানার চাক্তাই আমিন হাজি রোডের পোড়াভিটা এলাকায় এ নকল ঘি কারখানায় হানা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।
অভিযান পরিচালনার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক এবং নুর আলম উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহায়তা করেন এপিবিন, আনসার ব্যাটালিয়ন ও ক্যাব সদস্যরা। এ সময় পাঁচটি পলিথিন তৈরির বুলিং মেশিন, তিনটি কাটিং মেশিন, ২৫ কেজি ওজনের ১২ বস্তা পলিথিন তৈরির কাঁচামাল, ১০০ কেজি তৈরি পলিথিন, ১০ কেজির ১৪টি পলিথিন রোল জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সুজিত আলীর বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ইব্রাহিম নামের এক লোক ‘বাঘাবাড়ী আসল গাওয়া ঘি’ প্রস্তুতি করছিলো বাড়ির পিছনের কারখানায়। এতে কারখানায় তল্লাশিতে কোন প্রকার দুধ বা কোন ধরণের প্যাকেটও খুজেঁ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, সরবরাহের জন্য তৈরি ৩২৭ কৌটা ঘি জব্দ করা হয়। একই কড়াই (আনুমানিক ২০ কেজি), পাম অয়েলের পাঁচটি ড্রাম, ৫ কেজি রং ও কেমিক্যাল এবং ৫ হাজার খালি কৌটা চাক্তাই খালে ফেলে নষ্ট করা হয়েছে। তবে স্থানীয় এমএইচ প্যাকেজিং নামের একটি পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ উৎপাদন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয় বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই সেই আলোচিত নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন কোন অভিযানে না থাকায় সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা রমজানের ঈদসহ বিভিন্ন সময় বীরদর্পে অনিয়মের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছিল। এখন আবারও অভিযান শুরু হলে সেই অসাধু ব্যবসায়ীরা আতংকের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। চিনি ব্যবসায়ীরাসহ রমজানের ঈদে এসব অভিযানের আরেকজন আতংক হচ্ছেন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। এতে অনেক বড় ব্যবসায়ী দেখে নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন কৌশলে। তবে সরকার দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনামুলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যাদে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোন ধরনের সুযোগ নিতে না পারে সে জন্যও কঠোর নজরদারি রেখেছেন প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ জুন, ২০১৬/ আফরোজ