চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি বাড়াতে কেনা হচ্ছে এক হাজার ১২০ কোটি টাকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি।
এরমধ্যে থাকছে ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), একটি রেল মাউন্টেড ক্রেন, ২০ রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি), ১০টি স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার, ১০টি রিচ স্ট্যাকার ও ১০টি কনটেইনার মুভার। এসব যন্ত্রপাতি যুক্ত হলে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনাসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে ২০১৪ সালে এক হাজার ১২০ কোটি টাকার ৬১টি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে শিগগিরই টেন্ডার (দরপত্র) আহবানে গত মে মাসে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব যন্ত্রপাতি বন্দরে যুক্ত হলে একদিকে যেমন আমদানি-রফতানি কাজে গতি বাড়বে, তেমনি রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান বন্দরের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বলেন, ‘সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বন্দরের অর্থে এক হাজার ১২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও এনসিটিকে পুরোদ্দমে চালু করতে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কোন বিকল্প নেই। তাই কর্তৃপক্ষ তথা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, ‘দেশের প্রধান বন্দর হিসেবে যেহারে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহার বা আমদানি-রফতারি কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহারে সেবা প্রদান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন্দরের স্বার্থেই এসব যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত আরো আগে নেওয়া উচিত ছিল।’
সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী ইমাম হোসেন বিলু বলেন, ‘বন্দরের হ্যান্ডলিং ও অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি বাড়লে আমদানি-রফতানিকারকদের খরচ কমে আসে। গতি কমলে স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেড়ে যায়। শেষমেষ সে খরচ ভোক্তাদের ঘাড়েই চাপে।’
প্রসঙ্গত, বছরে দুইশ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৭ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল। পাঁচটি বার্থে বিভক্ত এই টার্মিনালের বছরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ১৩ লাখ টিইইউস। সিদ্ধান্তহীনতা ও টেন্ডার জটিলতার কারণে যন্ত্রপাতি ক্রয় না হওয়ায় নির্মাণের ৮বছর পরও টার্মিনালটি চালু হয়নি। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরে বেসরকারি অপারেটররা এই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ জুলাই ১৬/ সালাহ উদ্দীন