জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আটক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথ্যের ভিত্তিতে ঐ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তার নাম ইব্রাহীম ইবনে মোশাররফ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ইব্রাহীম। পরবর্তীতে তিনি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইআইটি বিভাগে ভর্তি হন। ইব্রাহীম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকতেন না, রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে এসে ক্লাস করতেন। ফেসবুকে তার আইডির নাম ইব্রাহীম আদহাম (বাংলাতে)। আইডিতে তার কোনো ছবি নেই, পরিচয় শনাক্ত করার মত তথ্যও পাওয়া যায়নি। তবে টাইমলাইনে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট দেখা গেছে। ইব্রাহীম সৌদি আরব ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। তার জন্ম সৌদি আরবে। তিনি পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত পরিবারের সাথে সেখানে ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে গণিত ও পরিসংখ্যান ভবনের আইআইটি বিভাগের একটি কক্ষে ক্লাস চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক কেএম আক্কাছ আলী বলেন, “একজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যারা নিয়ে গেছে তারা পুলিশ নাকি অন্য কেউ তা আমরা জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি, অনুমতিও চায়নি।”
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, “আমাকে অবহিত করা হয়েছে, তবে অনুমতি চাওয়া হয়নি। দুই-তিনদিন আগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এস বি) থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল তারা একজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। কিন্তু তারা কবে কিংবা কখন আসবেন সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে জানানো হয়নি। আমি পরে জেনেছি।”
বিডি প্রতিদিন/৭ আগষ্ট ২০১৬/হিমেল-২১