চট্টগ্রামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য সন্দেহে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে নগরীর পাঠানটুলি, কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ও পটিয়া উপজেলার ধলঘাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফরহাদ আহম্মেদ ওরফে রিপন (২৭), মো. ইমরান (২৬) ও আহম্মদ হোসেন রনি ওরফে রুবেল (২১)। তাদেরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শুক্রবার সকালে নগর পুলিশের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) নাজমুল হাসান এ সব তথ্য জানান।
জানা যায়, গতকাল বিকালে তাদেরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক তা নাকচ করে দিয়ে আগামী রবিবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করতে বলা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) নাজমুল হাসান বলেন, গত ৩১ জুলাই পতেঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া আনসারুল্লাহর পাঁচ সদস্যের তথ্যের ভিত্তিতে পাঠানটুলি থেকে ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা থেকে ইমরানকে এবং পটিয়ার ধলঘাট থেকে রনিকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফরহাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করে কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানে ‘এনালাইটিক্যাল কেমিস্ট’ পদে চাকরি করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আর ইমরান পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে এক্সপার্ট। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ‘পাওয়ার টেকনোলজি’ বিষয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে। সে এবিটির সামরিক শাখার সঙ্গে যুক্ত বলে আমাদের ধারণা। তাকে নগরীর কর্ণফুলি থানার দক্ষিণ শিকলবাহা গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।
রনি শ্যামলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ইনঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। আটকের পর রনি স্বীকার করেছে সে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার নেতা এবং আনসারুল্লাহর সঙ্গে জড়িত। তার বাড়ি থেকে গোলাম আজম, শিবির এবং জামায়াতের বিভিন্ন লেখকের ১৩টি বই, দুইটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। রনিকে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের তেকোটা নিজ গ্রাম থেকে আটক করা হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) মো. মারুফ হাসান বলেন, সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেফতার হওয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা মুছা ইবনে উমায়েরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগসাজশ ছিল ফরহাদ, রনি এবং ইমরানের। তারা বেশ কয়েকবার নাশকতা সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে বৈঠক করেছে। তারা চট্টগ্রামের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আনসারুল্লাহকে সংগঠিত করার দায়িত্বেও ছিল।
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন