বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী কেএম শহীদুল্লাহ শহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মন্ত্রণালয়। একটি অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ২৩ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব খলিল আহমদ। রবিবার সকালে এই আদেশের কপি বরিশাল সিটি করপোরেশনে এসে পৌঁছেছে। সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসমা আক্তার রুমি এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাজী শহিদ বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান পরিষদের ১ নম্বর প্যানেল মেয়র। নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার সহ টানা ৪ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। শহীদ বরিশাল মহানগর বিএনপি’র সহসভাপতি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, ২০০৯ সালের সিটি করপোরেশন আইনের ৬০নং এর ধারা ১২ এর উপধারা (১) মোতাবেক কোন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করলে তাকে মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের বিধান রয়েছে। এই আইনে কেএম শহীদুল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারী রাতে নগরীর দক্ষিন আলেকান্দার মেডিকেল কলেজ লেনে হাজী শহীদুল্লাহ’র বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। এ সময় তার বাসা থেকে একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধারের দাবি করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাবের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ওই রাতেই অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ২২ জানুয়ায়ী বরিশাল জেলা জজ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিনে মুক্ত হন তিনি। যদিও হাজী শহিদের পরিবার এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছে।
সিটি করপোরেশনের বর্তমান পরিষদের মেয়র এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থক একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় দায়েরকৃত ফৌজদারী মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র কাউন্সিলর শহীদের বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয়ের এই ব্যবস্থা গ্রহণকে একপেশে বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর শহীদের ঘনিষ্ঠজনরা।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে হাজী কেএম শহীদুল্লাহ শহীদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করার কথা জানান।
বিডি প্রতিদিন/২৮ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-২৫