রিভিউ আবেদন খারিজের পর জামায়াত নেতা মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে এখন শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টিই বাকি থাকল। তিনি প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন না করলে রাষ্ট্র যে কোনো মুহূর্তে রায় কার্যকর করতে পারবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মঙ্গলবার মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ হলে তার দণ্ড কার্যকরের পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হলো- রিভিউ পিটিশনের রায়ের বিষয়ে তাকে অবহিত করা হবে। তিনি যদি মনে করেন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন, সেক্ষেত্রে তার দরখাস্ত রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করা হবে। রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্তের পরই তার দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়াটা চালু হবে।’
রাষ্ট্রপতি যদি মীর কাসেমকে ক্ষমা না করেন বা তিনি ক্ষমা না চান সে বিষয়ে দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘উনি প্রাণভিক্ষা চাইলে রাষ্ট্রপতি নিস্পত্তি না করা পর্যন্ত প্রক্রিয়া থেমে থাকবে। রাষ্ট্রপতি যদি প্রাণভিক্ষা দেন সেটা আলাদা কথা। আর উনি যদি এটাকে নাকচ করেন সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র যখন চাইবে, তখনই তার দণ্ড কার্যকর করা যাবে। তিনি প্রাণভিক্ষা না চাইলে যে কোনো মুহূর্তে রাষ্ট্র তার এই দণ্ড কার্যকরের পদক্ষেপ নিতে পারে।’
উল্লেখ্য, একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন রাজধানীর মতিঝিলে তার মালিকানাধীন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় জামায়াতের এই ব্যবসায়ী নেতাকে। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল গত ৮ মার্চ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আজ আপিলের সেই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনও খারিজ করে দিলেন আপিল বিভাগ।
বিডি প্রতিদিন/ ৩০ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন