কবি শহীদ কাদরীর ইচ্ছাতেই তার মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের পথে রয়েছে তার মরদেহবাহী বিমান।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে কবির মরদহে নিয়ে রওনা হয় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। দুবাই হয়ে বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে কবির মরদেহ।
বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান, ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদ আহমেদসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
কবির ছেলে আদনান কাদরী, লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট রানু ফেরদৌস, যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জীবন বিশ্বাস ও চলচ্চিত্রকার কবীর আনোয়ারও বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
বিমানে তোলার আগে কবিপত্নী নীরা কাদরী কফিনে শায়িত শহীদ কাদরীকে শেষবারের মত ছুঁয়ে দেখেন। অন্য একটি ফ্লাইটে ঢাকায় রওনা হয়েছেন কবির স্ত্রী নীরা ও ছেলে আদনান কাদরী। লাশবাহী কফিনের আগেই তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন শহীদ কাদরী। গত পাঁচ বছর ধরে হুইল চেয়ারে ছিল তার চলাফেরা। সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। রবিবার নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান ৭৪ বছর বয়সী এ কবি।
দেশে পৌঁছার পরপরই কবির মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। জোটের উদ্যোগে সেখানে সামাজিক-রাজনীতিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
কবিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
১৯৪২ সালের ১৪ অগাস্ট কলকাতায় জন্ম নেওয়া শহীদ কাদরী সাতচল্লিশে দেশভাগের পর বাংলাদেশে আসেন। ১৯৭৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের বাইরে তিনি; জার্মানি, ইংল্যান্ড হয়ে ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হন।
বিডি প্রতিদিন/ ৩০ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন