স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জিকা মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
আজ (শুক্রবার) হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি লাইঞ্জে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিকা ভাইরাস নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। এছাড়া জিকা ভাইরাস ধরা পড়লে ভয়েরও কিছু নেই। আমাদের ডাক্তার আছে এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে জিকা ভাইরাসজনিত রোগ ব্যাপক আকারে ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক কর্মরত ও বহু ট্যুরিস্টও রয়েছেন। গর্ভবর্তী মায়েরা যেন সেখানে না যায় সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।’
বিমানবন্দরে যাত্রীদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্ক্যানিং মেশিনে শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীরা যেন অবশ্যই সরকারের এই সেবাটি গ্রহণ করেন।
জিকা ভাইরাসের বিষয়ে মিডিয়াকে আরো বেশি সচেতনতামূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সিঙ্গাপুরে জিকা ভাইরাস ধরা পড়েছে। ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে এই রোগে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাই-কমিশনারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন তারা সকলে সুস্থ্য আছেন এবং ভাল আছেন।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক একেএম সামসুজ্জামান, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক মীর জাদি সেবরিনা ফ্লোরা, বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাকির উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জিকা মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। জিকার লক্ষণসমূহ সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং রোগটি নিজে নিজেই ভাল হয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/ ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম