রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে মোটরসাইকেল বা স্কুটার নিয়ে নারীদের চলাচল নিয়মিত কোন দৃশ্য নয়। ঢাকায় এমন মহিলা বাইক চালকের সংখ্যা শতাধিক হবে বলে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এমনকি এই স্কুটি চালক নারীরা নানারকম ক্লাবও গড়ে তুলছেন। এগুলোরই একটি ‘বাংলাদেশ ওম্যান রাইডার্স ক্লাব’।
ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইশরাত খান মজলিশ বলেন, ‘সমাজের দিক থেকেও এখন মানসিকতা অনেক পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের ক্লাবে অনেক সদস্যরা আছে যাদের স্বামী তাদেরকে স্কুটি কিনে দিয়েছেন, রাস্তাঘাটে যানজট এবং যানবাহন পাওয়ার দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী শাহীনুর নার্গিস মোটরসাইকেল চালিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ছাত্র রাজনীতিতেও ছিলেন সামনের সারিতে। আজ দেড় দশক পর এসেও তিনি ঢাকার রাস্তায় মোটরসাইকেল দাবড়ে বেড়ান।
শাহীনুর নার্গিস বলেন, ‘আমি যখন ঢাকার রাস্তায় বাইক চালাতাম তখন মনে হয় আর কোন মেয়ে বাইক চালাতো না। এখন অনেক মেয়ে স্কুটি চালায়। খুব স্বাচ্ছন্দ্যে সাবলীলভাবে চালায়’।
পল্লবীর গৃহবধূ রুনা খান। তার লাল রঙের একটি স্কুটি বা ছোট আকারের দুই চাকার স্কুটার আছে। এটিতে করে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যান। এমনকি বাজার করতে, ডাক্তার দেখাতেও যান তিনি।
এরই মধ্যে ঢাকার রাস্তায় নেমে গেছেন ২২ জন নারী ট্রাফিক সার্জেন্ট। তারা লাল রঙের স্কুটি চালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দায়িত্ব পালন করছেন, যেমনটি এতদিন মোটরসাইকেল চালিয়ে করে আসছিলেন তাদের পুরুষ সহকর্মীরা।
মেয়েদের মধ্যে যে স্কুটি বা মোটরবাইক চালানোর প্রবণতা বাড়ছে বলে জানালেন, ঢাকায় বড়সড় একটি মোটরবাইকের বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জাকারিয়া খান।
জাকারিয়া খান বলেন, ‘তাদের কাছে গ্রাহকদের এবং অনুসন্ধানকারীদের তথ্য সংগৃহীত থাকে। অনেক সময় মেয়েরা দল বেঁধে স্কুটির খবর নিতে, দাম যাচাই করতে আসছে। স্বামীরা স্ত্রীকে নিয়ে আসছে স্কুটি কিনে দিতে’।
সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর