চড়া দামে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয় করে এবার বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। আড়তে এনে চামড়া বিক্রি করে তারা লাভ তো দূরের কথা কেনা দামও পাচ্ছেন না। আড়তদাররাও বলছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা না বুঝেই অধিক দামে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে তাদের পক্ষে চামড়া ক্রয় করা সম্ভব হবে না। এতে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বছর ঢাকার বাইরে কোরবানির গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার মূল্য প্রতি বর্গফুট ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বর্গফুটের হিসাব না করে নগরীর বাসা-বাড়িতে গিয়ে ঈদের দিন পিস হিসেবে অধিক দামে চামড়া সংগ্রহ করেন। আর দিন শেষে তারা যখন সংগৃহিত চামড়া নিয়ে আড়তদারের কাছে যান, তখন দাম শুনে তাদের যেন মাথায় বাজ পড়ে। যে মূল্যে তারা চামড়া কিনেছেন তার অর্ধেক দামও দিতে চাচ্ছেন না আড়তদাররা।
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী রুবেল আহমদ ও আকরাম হোসেন জানান, বর্গফুটের হিসাব না বুঝে এবার তারা ১০০০-১২০০ টাকা দিয়ে প্রতি পিস চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন। এই আকারের চামড়া তারা গতবার ১৫০০-১৮০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। কিন্তু এবছর আড়তদাররা প্রতি পিস চামড়া ৩০০-৫০০ টাকার বেশি দিয়ে কিনতে চাচ্ছেন না। এতে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
আড়তদার কামাল আহমদ জানান, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে এগুলো থেকে মাংসের টুকরো অপসারণ করে লবণ দিয়ে সংগ্রহ করতে হয়। এতে বাড়তি খরচ থাকে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেয়া মূল্য বিবেচনা না করে তাদের মনগড়া দাম দিয়ে চামড়া কিনেছেন। তাই তাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে, ব্যবসায়িক লোকসানের ঝুঁকি থাকায় নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান কামাল আহমদ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ