চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) অতীতের মত কোরবানী পশুর বর্জ্য অপসারণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়। তবে পশু জবাইয়ের জন্য চসিকের নির্ধারিত ৩৭০ স্পটে নগরবাসীর কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। সবগুলো স্পটই ফাঁকা ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চসিক সূত্রে জানা যায়, পশুর বর্জ্য অপসারণে এবার চসিক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সব আবর্জনা অপসারণের ঘোষণা দেয়। এ লক্ষ্যে ৪১টি ওয়ার্ডকে ৪টি জোনে ভাগ করা হয়। প্রতি জোনের নেতৃত্বে ছিলেন একজন কাউন্সিলর। বর্জ্য অপসারণে ৪১টি ওয়ার্ডে ১৮০টি গাড়ি নিয়োজিত ছিল। এর মধ্যে আবর্জনাবাহী গাড়ি ১২৬টি, ট্রাক্টর ওয়াগন ৪টি, পে-লোডার ৮টি, ড্রাম ট্রাক ৩২টি, অতিরিক্ত গাড়ি ১০টি, ৬টি পানির ভাউচার, ২৫টি পানির ভ্যানগাড়ি, ৩টি পানির টেম্পো, ২টি পানির টেক্সি সার্বক্ষণিকভাবে পশুর রক্তসহ অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত আছে। এবার ১৯টি ওয়ার্ডের আবর্জনা নগরীর হালিশহর আবর্জনাগারে এবং ২২টি ওয়ার্ডের আবর্জনা আরিফিন নগর আবর্জনাগারে ডাম্পিং করা হয়। কাজ করেছেন প্রায় আড়াই হাজার সেবক।
বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা নগরীর অধিকাংশ স্থানে আবর্জনা পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। অলিতে গলিতে কিছু থাকলেও সেগুলো গত বুধবার রাতের মধ্যে পরিষ্কার করা হয়। এক ডাস্টবিন থেকে একাধিকবারও বর্জ্য নেওয়া হয়েছে। এবার নগরবাসীও সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার ৩৭০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি ধর্মীয় হওয়ায় এ ব্যাপারে কাউকে জোর করা হয়নি। মেয়রও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বলেছেন, জোর নয়। আমরাও মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। এবার হয়নি, আশা করছি আগামীতে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ