জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সাভারে লিটন নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ছয় জনকে আসামী করে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন ডিবি পুলিশের এএসআই এনায়েত হোসেন ।
মামলা আসামিরা হলেন- সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, পারভেজ হোসেন, শান্ত খান, মনির হোসেন ও মোহাম্মাদ আলী।
পুলিশ জানায়, গেন্ডা জুট ব্যবসায়ী পারভেজের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া ও মদের আসর বসছিল। জুয়া খেলার হেরে যাওয়ার সোহেল রানা নামের আরেক ব্যবসায়ীর শটগান দিয়ে লিটনকে গুলি করা হয়। তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার গভীর রাতে লিটনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকে কড়া প্রহরায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লিটন আশুলিয়ার নলাম গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিটি সেন্টার একটি বিপণিবিতানে তার পোশাকের দোকান রয়েছে। লিটন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি। তার স্ত্রী মুক্তি বেগমও কথা বলতে রাজি হননি।
ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঈদের আগের দিন সোমবার গভীর রাতে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা পুকুর পার মহল্লার জুট ব্যবসায়ী পারভেজের বাসায় গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এখানে নিয়মিত লাখ লাখ টাকায় জুয়া খেলা হয় আর জুয়াকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোহেল রানার লাইসেন্স করা শটগান থেকে।
মামলার অন্যতম আসামী সোহেল রানা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঘটনার রাতে লিটনসহ তারা কয়েকজন মাইক্রোবাসে করে এক জায়গায় যাচ্ছিলেন। রাতে সাভার থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাইক্রোবাসে ওঠার সময় তিনি শটগানটি লিটনের হাতে দেন। এ সময় অসাবধানতাবশত ট্রিগারে চাপ লেগে একটি গুলি লিটনের পায়ে বিদ্ধ হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা