মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার এবং তার পৈত্রিক ভিটাসহ তার নামে থাকা অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাক্ষুসে সন্ধ্যা নদীর রহিমগঞ্জ পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জের গ্রামেই বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক ভিটা, তার নামে প্রতিষ্ঠিত স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার কলেজ এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এছাড়া বীরশেষ্ঠের স্মৃতি বিজড়িত রহিমগঞ্জ বাজারও নদী ভাঙনে নিশ্চিহ্ন প্রায়।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মো. মঞ্জুর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে সন্ধ্যা নদী তীরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২ ঘণ্টা স্থায়ী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন, আগরপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এবায়দুল হক শাহীন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেক, সেনা বাহিনীর প্রশাসনিক কর্মকতা নজরুল ইসলাম হাওলাদার, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোফাজ্জেল হোসেন ও মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় ইতিমধ্যে সন্ধ্যা নদীতে হারিয়ে গেছে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বসতবাড়ির প্রায় ৫ একর জমিসহ রহিমগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ লঞ্চঘাট ও বাজার। ভাঙনের মুখে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠের নামে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক জাদুঘর, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজসহ বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক বসতভিটার সর্বশেষ স্মৃতিচিহ্নটুকুও।
এমনকি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু। অথচ এ ব্যাপারে কোন তড়িত উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। বক্তারা বীরশ্রেষ্ঠ’র স্মৃতি বিজরিত তার পৈত্রিক ভিটাসহ অন্যান্য স্থাপনা রক্ষার জন্য সরকারের আশু সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব