সাভারে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী রেজাউল করিমকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত হাফিজা আক্তার রানী (১৯) খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে। সাভার পৌর এলাকার ডগরমোড়া মহল্লার রেজাউল করিমের সাথে হাফিজা আক্তার রানীর বিয়ে হয়। সাভার নিউ মার্কেটে ‘খুলনা থ্রী পিস হাউজ’ নামে রেজাউলের কাপড়ের দোকান রয়েছে।
নিহতের বাবা হাফিজুর অভিযোগ করেন, “যৌতুক দাবি করে না পেয়ে রেজাউলই তার মেয়েকে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল যৌতুকের জন্য হাফিজাকে চাপ দিয়ে আসছিল। ঈদের আগে তাকে কিছু টাকাও দেওয়া হয়। রেজাউল আরও টাকা দাবি করলে শুক্রবার রাতে হাফিজার সঙ্গে তার কথা কটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাফিজা টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে রেজাউল তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।”
সাভার মডেল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, শুক্রবার গভীর রাতে তাদের ঘর থেকে হাফিজার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি কামরুজ্জামান আরও বলেন, “সকালে রেজাউল পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে তাকে আটকে রাখে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তা নিশ্চিত করা যাবে।”
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর