‘যারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তাদের জানাতে হবে- এ পথ শান্তির নয়। নিরাপদ নয়। এ পথে গিয়ে কখনো মানুষের কল্যাণ বয়ে আনা যায় না। কিছু লোক খুনখারাবি করে শান্তির ধর্ম ইসলামের বদনাম করছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করতে হবে। দেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না।’
আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরের শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে লালদীঘি ময়দানে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় ৭ হাজার ৫০৯টি স্থানে ডিজিটাল পর্দার মধ্য দিয়ে ২৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন এবং তার কথা শোনেন।
প্রায় এক ঘণ্টার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী একজন হকারের সাথে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা একজন ভাসমান ফেরিওয়ালাকে কথা বলার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বেলাল নামে একজন মাইক নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে চট্টগ্রামে একটি হকার মার্কেট করার দাবি তুলেন।
লালদীঘির মাঠে এ ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিন, সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার রহুল আমিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো.সামশুল আরেফিন, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য, পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূর ই আলম মিনাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১