বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্ববধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে দুই দিনের ট্যুরিজম সম্মেলন
আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে। এটি এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশন (পাটা)-এর অন্যতম বৃহৎ বাৎসরিক ইভেন্ট।
রবিবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডর কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার্স ফোরাম এর সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ জামান।
মন্ত্রী বলেন, দেশের ট্যুরিজম খাতকে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার যাত্রাপথেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুজন বিদেশি হত্যার পর, ১ জুলাইয়ের ঘটনা আমাদেরকে ম্যাপ থেকেই দুরে ঠেলে দিয়েছে। এখন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এই সম্মেলন আমাদের পর্যটন খাতকে অনেকদুর এগিয়ে নিবে। এ সম্মেলনে আমাদের দুটি লক্ষ্য। এক. পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ। দুই. এ ধরণের সম্মেলন বাংলাদেশ করতে সক্ষম বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেনন বলেন, কক্সবাজার ও সুন্দরবন ছাড়াও আমাদের আরও পর্যটন ক্ষেত্র রয়েছে। যেগুলো আমরা সেল করতে পারছি না। এরমধ্যে বড় ৩টি পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে। ওই ৩টি পাহাড়ি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে এ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের পরিকল্পনা করেছি আমরা।
এর মধ্যে দুটি সমস্যা রয়েছে। এক. আইনশৃঙ্খলা সমস্যা। সেখানে আমাদের যেসব টুরিস্টরা যায় তারা বাধার সম্মুখীন হয়। এই অভিজ্ঞতা অনেকের কাছ শুভকর নয়। দুই. পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে কথা ছিল পর্যটন খাতকে জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের হাতে দিয়ে দেওয়া। আমরা ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের সঙ্গে চুক্তি করেছে। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়েছে বলেন মেনন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দুই দিনের সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে নীতি নির্ধারক, পর্যটন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিনিধি, নাগরিক সমাজ ও গণমাদ্যম কর্মীসহ প্রায় ২০০ জন অতিথি অংশগ্রহণ করবে।