চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর তালসরা দরবারের টাকা লুটের মামলার বিচারিক আদালত নির্ধারণ করেছেন চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী। অভিযোগ গঠনসহ পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলাটি পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলমের আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ। গত অক্টোবরে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজল কান্তি চৌধুরী বলেন, আদালতের ধার্য তারিখে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে শুনানির মধ্য দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ অভিযোগপত্রে আনা অভিযোগের আমলনামা গ্রহণ করেন। এরপর অভিযোগ গঠনের জন্য মামলাটি বিচারিক আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরীফে অভিযান চালায় তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে র্যাব-৭ এর একটি বিশেষ টিম। এ সময় দরবার থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠে। ঘটনার প্রায় সাত মাস পর ২০১২ সালের ১৩ মার্চ দরবারের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বাদি হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালের ১৫ জুলাই সাতজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সামাদ।
অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী, উপ-অধিনায়ক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহামুদুল হাসান মজুমদার, সুবেদার মোহাম্মদ আবুল বশর, এস আই তরুন কুমার বসু, সোর্স মো. দিদারুল আলম, মো. আনোয়ার ও মানব বড়ুয়া। অভিযোগপত্রে ৪২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।