পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তরফ থেকে সর্বোচ্চ সক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের মানুষের নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সংস্থার সঙ্গে র্যাব সমন্বয় করে কাজ করবে। পহেলা বৈশাখে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনা বটমূলে বুধবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, পহেলা বৈশাখে কেউ যদি কোনো সন্দেহজনক বস্তু বা ব্যক্তিকে দেখেন সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন, যাতে করে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। আমাদের যে সক্ষমতা আছে জননিরাপত্তার জন্য জনস্বার্থে ব্যবহার করব। অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আগতদের নিরাপত্তা দেবে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, এ উপলক্ষে রমনার ভেতরেসহ চারপাশে ফুট পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল ও গাড়িতে পেট্রোলটিম থাকবে। প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ওই দিন এই এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়ন করা হবে। সেই সাথে সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি ও ডগ স্কোয়াড থাকবে। পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ারও বসানো হয়েছে এবং আইইডি ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে।
তিনি বলেন, রমনা এলাকায় বোমাসদৃশ্য বা বিস্ফোরক কোনো বস্তু আছে কী না তা পর্যবেক্ষণ করতে ডগ স্কোয়াড সুইপিং করছে। সেই সাথে বম্ব স্কোয়াডও সুইপিং করবে। রমনা বটমূলসহ এর চারপাশের এলাকা সিসি টিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে। এগুলো মনিটরিংয়ের জন্য রমনা বটমূলে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ বসানো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা ডিএমপির সঙ্গে সমন্বয় করে বসানো হচ্ছে। সর্বাধিক স্থান মনিটরিং করা হবে। নগরবাসীকে দিনের আলো থাকতে থাকতে অনুষ্ঠান সমাপ্তির জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত অন্য কোনো আরোহী না রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে একজনের বেশি থাকলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে চলাচল করা যাবে। জঙ্গি নিয়ে কোথাও কোনো ধরনের হুমকি নেই। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বরিশালে সংস্কৃতিকর্মীদের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো এবং চট্টগ্রামে দেয়ালে বৈশাখচিত্র মবিল দিয়ে নষ্টকারীদের ধরতে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে র্যাব কাজ করছে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, রাজধানীসহ পুরো বাংলাদেশে যেখানে র্যাবের ব্যাটালিয়ন রয়েছে সেখানে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। সাদাপোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন। আগামীকাল থেকে পোশাকে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নগরবাসী নিরাপত্তার ব্যাপারগুলো বোঝেন। নগরবাসী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হয়রানি বা বাড়াবাড়ি হিসেবে না নিয়ে আমাদের কাজে সহযোগিতা করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ