চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন আটকের ঘটনায় র্যাবের দেওয়া অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমান এই আদেশ দেন।
র্যাবের দেওয়া অভিযোগপত্রে ১০ আসামির মধ্যে নূর মোহাম্মদসহ সাতজন কারাগারে আছেন। তার ভাই মোস্তাক আহমেদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া পলাতক আছেন। এই তিন পলাতকের বিরুদ্ধেই আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এর আগে ৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে পুলিশের অব্যাহতি দেওয়া নুর মোহাম্মদের পাশাপাশি তার ভাই মোস্তাক আহমেদ খাঁনকেও আসামি করা হয়। পুলিশের অভিযোগপত্রের আটজনসহ সম্পূরক অভিযোগপত্রে মোট আসামি ছিল ১০ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৭ জুন বলিভিয়া থেকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের খানজাহান আলী লিমিটেডের নামে আসা একটি কনটেইনারে কোকেন পাওয়া যায়। সূর্যমুখী তেলের নামে আনা ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ৯৬ নম্বর ড্রামে পাওয়া গিয়েছিল তরল কোকেন। অবৈধভাবে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় ওই বছরের ২৮ জুন নগরীর বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ১(খ) ও ৩৩ (১)/২৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে আটজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। এতে এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে আটজনকে আসামি করা হয়েছিল। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রের উপর শুনানি শেষে আদালত র্যাবকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন কর্মকর্তা দিয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনে (সম্পূরক অভিযোগপত্র) পুলিশের আটজনের সঙ্গে আরও দুজনসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার