কওমীদের সর্বোচ্চ ডিগ্রী দাওরায়ে হাদিসকে ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি মাস্টার্স’ ডিগ্রী’র সমমানে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত সমন্বয় কমিটি। স্বীকৃতি দেয়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে আগামী ১৭ ও ১৮ এপ্রিল জেলা উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’য়াত। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব ঘোষণা দেয়া হয়।
আহলে সুন্নাতের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন বলেন, কওমী মাদ্রাসাকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণাটি আত্মঘাতি। এ ঘোষণার ফলে দেশে সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠির তৎপরতা আরো বেড়ে যাবে। সরকারি সনদ দেয়ার ঘোষণা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে, দেশে একমুখি মাদ্রাসা শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা সংকোচন নীতি প্রত্যাহারসহ কওমী সনদ প্রত্যাহারের দাবিতে আগামি ১৭ ও ১৮ এপ্রিল জেলা-উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা'আত নেতা ও পীর-মাশায়েখদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান জননেতা আল্লামা এম এ মান্নান, পীরে তরীক্বত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আহলে সুন্নাত সদস্য সচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতেয়ার বলেন, সরকার কওমী মাদ্রাসাকে সরকারি সনদ প্রদানের ঘোষণা দিয়ে আজ সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। যারা কখনো সরকারের আনুগত্য করেনি, সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে চলেনি তাদেরই সরকার পুরস্কৃত করেছে। এমন উগ্রগোষ্ঠির মাদ্রাসাগুলোকে পুরষ্কৃত করার ঘোষণাটি রীতিমত হতাশাজনক এবং সুগভীর ষড়যন্ত্রমূলক আঁতাত হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/১৫ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল