বরিশালে মান্না পাহাড়ি নামে এক সাপুড়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপার বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বিকেলে কাউন্সিলর রূপা তার ব্যবহৃত ০১৭৪৬৮৪৪৭৮১ নম্বরের মুঠোফোন থেকে মান্না পাহাড়ির ব্যক্তিগত মুঠোফোনে রিং দিয়ে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মান্না পাহাড়ি।
ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা সাপুড়ে মান্না পাহাড়ির সাথে একই এলাকার ইয়াবা বিক্রেতা রাজার পুরনো বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে মান্নাকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে রাজা। এ ঘটনায় মান্না পাহাড়ি গত ৩০ এপ্রিল রাজার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। মান্না পাহাড়ির অভিযোগ, রাজার সাথে কাউন্সিলর রূপার সু-সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে রাজার পক্ষাবলম্বন করে গত মঙ্গলবার বিকেলে কাউন্সিলর রূপা মুঠোফোনে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
মুঠোফোনে কাউন্সিলর রূপা মান্না পাহাড়িকে বলেন, ‘আমারে চেনছেন, আম্মের (আপনার) মত কয়েকটা মান্না পাহাড়ি জন্ম দিয়া রাখছি। সারা বাংলাদেশে কোন হেল্প লাগলে আমারে ফোন দেবেন যদি বাঁইচা থাকতে চান। আর আমারে যদি না চেনেন তাহলে আমার ধারে জিগান আমি কেডা। কাউন্সিলর রূপা কেডা খোঁজ লইয়া লন। কাজ কাম আমনে (আপনি) ভাল করতেছেন না। আমনের সাঁপুরে সাঁপুরে খেলা আমি খেলি না। মান্না পাহাড়ি জন্ম দেই- এইডুক খালি মাথায় রাইখেন দাদো। সব শেষে মাদক ব্যবসায়ী রাজার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কিছু বললে মান্নাকে মেরা ফেলার হুমকিও দেয়া হয় মুঠোফোনে।
হুমকির সব কথপোকথন ফোনে রেকর্ড করে রাখেন সাপুড়ে মান্না। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে নগরীতে।
মান্না পাহাড়িকে হুমকির বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে কাউন্সিলর রূপা বিষয়টি অস্বীকার করেন। মান্নার মুঠোফোনে হুমকির কথপোকথন রেকর্ড করা আছে এবং কথাগুলো তিনি সাংবাদিকদের শুনিয়েছেন- এ বিষয়ে কোন সদুত্তর না নিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন রূপা।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, অভিযোগ তদন্ত চলছে। তদন্তে যদি হুমকির অভিযোগ প্রমানিত হয়, তাহলে প্রচলিত আইনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ