ধর্ষণের যে মামলা নিয়ে বাংলাদেশে এখন তোলপাড় চলছে সেই ঘটনায় জবানবন্দী দিলেন ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দুই শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করার অনুমতি দেন ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এই অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে এই জবানবন্দী নেওয়া হয়।
আদালতের সরকারি উকিল (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু জানিয়েছেন, কাদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, কখন কোন পরিস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটেছিলো - তার পুরো বর্ণনা ওই দুই ছাত্রী বিচারকের সামনে বলেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় এই জবানবন্দী নেওয়া হয়। এই জবানবন্দী তদন্তের ক্ষেত্রে শক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ দি রেইন ট্রি হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়েই বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া দুই ছাত্রী। এ ঘটনায় গত ৪ মে ভুক্তভোগী ওই দুই তরুণী বনানী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেওয়া হয় ৬ মে। ভুক্তভোগী তরুণীদের একজন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আসামিদের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হোসাইন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং ধনাঢ্য ঘরের নাঈম আশরাফ রয়েছেন। তবে নাঈমের বাবার নাম নিশ্চিত হতে না পারলেও তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।
গত ৭ মে থেকে সাফাতসহ পাঁচ আসামি একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। ফলে তাদের অবস্থান শনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেছেন, ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা তারা পেয়েছেন। বিভিন্ন আলামতও পুলিশ জব্দ করেছে। অভিযুক্ত পাঁচজনকে তারা শনাক্ত করেছেন। তাদের ধরতে সম্ভাব্য সব জায়গায় তারা হানা দিচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ