দুই দিন অনশনের পর অবশেষে ধামরাই সুয়াপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সেই নারী সদস্য স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন। নাজমিন সুলতানা প্রিয়সীকে (২২) স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন আব্দুল আলিম পলাশ (২৩)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার সময় ধুমধামের সঙ্গে নতুন করে কাজী এনে বিয়ে হয় পলাশ-প্রিয়সীর। বিয়ে উপলক্ষে আজ শনিবার বরের নিজ বাসায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা যায়, ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকোল গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম ওরফে পলাশ মাহমুদের (২৩) সাথে সুয়াপুর ইউনিয়নের সদস্য নাজমিন সুলতানা প্রিয়সীর (২২) এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই সময় প্রেমিক পলাশের প্রলোভনে স্বামী ও দুই সন্তান রেখে পলাশের সাথে সম্পর্ক শুরু করে নাজনীন। পরে পলাশ তার স্বামী পিন্টু মিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে ধামরাই সদরে বাসা ভাড়া করে দেয়।
পলাশের কথা মতোই তিন মাস আগে প্রথম স্বামী পিন্টুকে তালাক দেন প্রিয়সী। গত ২০ এপ্রিল ধামরাই পৌর এলাকার কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে প্রিয়সীকে বিয়ে করেন পলাশ। বিয়ে করেও পলাশ ও তার পরিবার মেনে না নেয়ায় অনশন শুরু করেন প্রিয়সী। মেনে না নিলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/১৩ মে, ২০১৭/ফারজানা