চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভূমি অফিসে ১৯৯৩ সালে বন্দোবস্ত হওয়া জমির খতিয়ান গত ২৪ বছরেও মেলেনি। কিন্তু আজ সহকারি কমিশনারের (ভূমি) সহযোগিতায় ১০ মিনিটেই খতিয়ান হাতে পান আবেদনকারী।
খতিয়ানের আবেদনকারী সীতাকুণ্ডের কুমিরার কোর্টপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবির আহমদ ১০ মিনিটে খতিয়ান হাতে পেয়ে 'ভূমি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে আমার প্রতিক্রিয়া' শীর্ষক এই লেখায় তিনি লিখেন, ‘গত ২৪ বছরে ধরে আমার নামে ভূমি অফিস থেকে যে ১৭ শতক জায়গা দলিলমূলে অর্পণ করা হয়েছিল সেই খাস জমির খতিয়ান রুহুল আমিনের কল্যাণে মাত্র ১০ মিনিটে পেলাম। আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি সম্পূর্ণ অলীক ব্যাপার। ভূমি অফিসে সচরাচর যা দেখা যায় না তাই আজ আমি দেখলাম।’
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবির আহমদের নামে ১৭ শতক খাস জমি বন্দোবনস্ত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। বন্দোবস্ত মামলামূলে তার নামে খতিয়ান সৃজিত হয় ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর। এরপর থেকে জমির খতিয়ানের জন্য ভূমি অফিসে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন তিনি। কেটে যায় ২৪ বছর। হাতে মেলেনি খতিয়ান।
কবির আহমদ বলেন, ভূমি অফিসে গেলে বলা হতো- সেই খতিয়ানের ফাইল নেই, নতুন করে আবেদন করেন। আমার কতা হলো ফাইল ছাড়া আমার নামে জমি বন্দোবস্ত হলো কিভাবে। তখন আমাকে বলা হতো- টাকা-পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করার জন্য। এক পর্যায়ে আমি ব্যর্থ হয়ে খতিয়ানের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। সম্প্রতি জানতে পারি উপজেলা ভূমি অফিসের বর্তমান সহকারি কমিশনার দ্রুত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তাই আজ সকালে ভূমি অফিসে এসে সব কথা উপস্থাপনের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আমাকে খতিয়ান দেওয়া হয়। বর্তমান সহকারি কমিশনারের কারণেই আমি ১০ মিনিটে খতিয়ান পেলাম।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘ গত ২৪ বছর ধরে জনাব কবির আহমদ একটি খতিয়ানের জন্য ঘুরছেন। শুনেই খারাপ লাগছিল। তাই তার কথা শুনার সঙ্গে সঙ্গেই খতিয়ান তৈরি করে দেই। খতিয়ান পেয়ে তিনি আমার জন্য মন থেকেই দোয়া করছেন। এটিই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার