১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং দেশের ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রারিক্ত (৫০পিপিবি এর ওপরে) আর্সেনিক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
জাতীয় সংসদে আজ টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ২০০৩ সালে দেশের ২৭১ উপজেলায় প্রায় ৫০ লাখ নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪ দশমিক ৫ লাখ অর্থাৎ ২৯ শতাংশ নলকূপের পানিতে মাত্রারিক্ত (৫০পিপিবি এর ওপরে) আর্সেনিক পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন প্রকার নিরসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে আর্সেনিকের মাত্রা কমেছে, তবে বর্তমানে ১২ শতাংশ মানুষ আর্সেনিক দূষণজনিত ঝুঁকির মধ্যে আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে পানির স্তর ৩ মিটার হতে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পুকুর/দিঘি/জলাশয়সমূহ পুন:খনন/সংস্কার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৮০৯টি পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। পলী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদের ১৪৩টি পুকুর পুন:খনন করা হয়েছে। এ সময় মন্ত্রী আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা সংসদে তুলে ধরেন
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন