বিএনপির সমাবেশ থেকে ফেরার পথে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ও বিপনী বিতানের সামনে থেকে আটককৃত বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ও নাশকতার পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আটককৃত বিএনপির নেতাকর্মীদের স্বজনেরা সোমবার সকাল থেকেই থানার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় আটককৃতদের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেও অনেকে ব্যর্থ হন। এসময় কয়েকজন স্বজন অভিযোগ করেন পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের লোকদের গ্রেফতার করলেও তাদের সাথে দেখা বা কথা বলতে দেয়নি।
থানা পুলিশ জানায়, রবিবার বিএনপির সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ি থেকে নামার সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আটক করে। এছাড়াও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও নাশকতা করতে পারে এমন আশঙ্কায় থেকে বিএনপির বেশ কয়েকজন কর্মীসহ ৪৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবরা দুপুরে পুলিশের কাজে বাধা, বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ও নাশকতার পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। এময় গ্রেফতারকৃতদেরকের বিরুদ্ধে ৭ দিন করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিটি মামলা এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন পুলিশের কাজে বাধা, বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ও নাশকতার পৃথক তিনটি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃত বিএনপি নেতা আলা উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সুমন মিয়া, সৈয়দ রাব্বী, বাবু রহমান, খন্দকার উসান, আলমীর হোসেন, আল আমিন, হোসেন আলী, রিপন আহমেদে, কামাল হোসেন, আক্কাস আলী, সানোয়ার হোসেন, হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন মাস্টার, বিপ্লাব হাজী, বিল্লাল, নুরুল মোমেন, আশারাফুল, ফিরোজ, বাহার উদ্দিন, মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান সানি দিপু, জাকির হোসেন, ফয়সাল আহমেদ জুয়েল, হদয় হাসান, কাজল হোসেন, জিয়া আলী, আব্দুল কুদ্দুস, মুসা মিয়া, ইমন খান, জুয়েল হোসেন, বাদল রানা, কনক,আলমগীর, ছানা উল্লাহ, মনির হোসেন, রায়হান, মেহেদী হাসান শিপলু, বাদল খাঁ, লুৎফর আলী, রুবেল, সোনা মিয়া, আনজু মিয়া, কালা আব্বাস খান, কামাল, স্বপন, শফিকুল ইসলাম. মানিক মিয়া, মনজু মিয়া, কুটি,মিয়া, রাজু মিয়া, শাজাহান খান, গগন, রাজিব হাসান, শাহাদৎ হোসেন, জয়নাল, হোলাম রসুলসহ কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন