বাংলাদেশ রেলওয়ের দু'টি ক্যাটাগড়ি ট্রেন নাম্বার ট্রেকার ও গুডস ক্লার্কের ৪৯টি পদের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা কাল শুক্রবার চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। দু'টি স্থানে ২০টি কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। এতে একটি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা আরেকটি পরীক্ষা একই দিন বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এ দুটি ক্যাটাগড়ির পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে প্রক্সি পরীক্ষা ও অনিয়মেরও আশংকা করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। তবে এসব অনিয়মকে উর্ধে রেখে নিয়মের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে সকল প্রকার প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে এবং প্রক্সিসহ নানাবিধ অনিয়ম রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ রয়েছে বলে জানান পৃথক দুই নিয়োগ কমিটির আহবায়ক ও পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল সিওপিএস সুজিদ কুমার বিশ্বাস।
রেলওয়ে শ্রমিকলীগ নেতা কামাল পারভেজ বাদল ক্ষোভের সাথে বলেন, রেলের নিয়োগ পরীক্ষা, চলমান নিয়োগ, অনিয়ম, দূর্নীতি এসব বিষয় লেগেই আছে। এক শ্রেনীর কর্মকর্তা-কর্মচারি এসব অনিয়মের কারণে সরকার বা রেলমন্ত্রী ও উধর্তন দায়িত্বশীলদের উন্নয়নমূখী প্রচেষ্টাকে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে প্রকৃত দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আড়ালে রেখে চিহ্নিতদের দিয়ে নিয়োগ কমিটিসহ নানাবিধ কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। অনিয়ম করে পদোন্নতিসহ নানা অনিয়মই নিয়মে পরিণত হচ্ছে। তবে আজকের দুটি পরীক্ষায় ট্রেন নাম্বার ট্রেকার ও গুডস ক্লার্কের প্রায় ২৫ হাজারের উপরে পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রক্সিসহ নানাবিধ অনিয়মের আশংকাও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পৃথক দুটি নিয়োগ কমিটির আহবায়ক ও পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল সিওপিএস সুজিদ কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশ প্রতিদিনিকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে নিয়োগের বিষয়ে দুনীতি ও অনিয়মের একটা প্রচলন রয়েছে। এতে করে রেলের নিয়োগের স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে সম্পন্ন ‘জিরো টলারেন্স’। এখানে অনিয়ম বা প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার কোন প্রকার সুযোগ নেই। থাকবে কঠোর নজরদারি। এসব বিষয়ে সম্প্রতি জিএমের সভাপতিত্বে এক জরুরী বৈঠকও হয়েছে। এসব পরীক্ষাসহ সবকিছু সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামুলক আলোচনাও হয়েছে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়োগের দুটি ক্যাটাগড়ির মধ্যে ট্রেন নাম্বার ট্রেকার ও গুডস ক্লার্কের ৪৯টি পদে লিখিত পরীক্ষা হবে। এতে ট্রেন নাম্বার ট্রেকার পদে ৩৬ জন ও গুডস ক্লার্কের পদে ১৩ জন নিয়োগ দেয়া হবে। এসব নিয়োগের জন্য রাজশাহীতে ৫টি কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে ১৫টি কেন্দ্র রয়েছে। ট্রেন নাম্বার ট্রেকার পদে ৩৬ জনের বিপরিতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১৪ হাজার ২’শ ৩২ জন এবং গুডস ক্লার্কের ১৩টি পদের বিপরিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন ১১ হাজার ৪’শ ২ জন। এসব পরীক্ষায় প্রক্সি ও অনিয়মের যেমনি আশংকা করা হচ্ছে তেমনি রেলওয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিও রয়েছেন বলে জানান রেলওয়ে কর্মকর্তারা। তাছাড়া পরীক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনাও দিয়েছেন জিএম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার