বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শুক্রবার দিনভর ছিল গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। আকাশে ছিল না সূর্যের দেখা। এ অকাল বৃষ্টিতে বেড়ে গেছে শীতের প্রকোপ। ছুটির দিন হওয়ায় নগরীর রাস্তায় খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বের হননি। যারা ঘরের বাইরে পা রেখেছেন তাদের হাতে ছিল ছাতা। আর পরনে ছিল শীতের পোশাক।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শৈবাল আচার্য্য নামের একজন সংগঠক বলেন, আজ দুপুরের পর থেকে বেশী ঠান্ডা পড়ছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। এ অকাল বৃষ্টিতে শীতের মাত্রাও বাড়ছে ধীরে ধীরে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন