রাজধানীর মালিবাগে ফরচুন শপিং মলে আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে আটকা পড়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিমের সদস্যরা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আসামি মাজহারুল ইসলাম ইরান ফরচুন শপিং মলের একজন ব্যবসায়ী। তাকে আটক করতে ডিবি পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পর অন্য ব্যবসায়ীরা তাদের নকল ডিবি ভেবে ঘেরাও করে।
পরে ডিবি পুলিশের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় আনে রমনা থানা পুলিশ। পাশাপাশি আইসিটি এ্যাক্ট মামলার ওই আসামিকেও থানায় আনা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আসামি ধরার জন্য শপিং মলে যায়। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের ভুয়া পুলিশ মনে করে আটকে রাখে। গোয়েন্দা পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের ফোন পেয়ে আমরা গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
গাড়িটিতে পুলিশের স্টিকার না থাকায় এবং ডিবি পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের শরীরে ডিবির পোশাক না থাকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ জনগণ। এমনকি ডিবির সদস্যরা আইডি কার্ড দেখাতে না পারায় জনগণ ভুয়া ডিবির স্লোগান দিয়ে ডিবির ওই সদস্যদের উপড় চড়াও হয়। পরে পুলিশ ও ডিবির অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাঠিপেটা শুরু করলে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ৮টার ফরচুন মার্কেট থেকে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে ডিবির একটি টিম। কিন্তু ওই টিমের সদস্যদের ডিবির পোশাক না থাকায় এবং পরিচয়পত্র না দেখাতে না পারায় গুজব রটে ভুয়া ডিবি এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিচ্ছে। আর এতেই ভিড় করতে থাকে সাধারণ জনতা। পরে থানা পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ঘটনাসস্থলে এসে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এরা সবাই আসল ডিবি। তাহলে গাড়িতে স্টিকার এবং ডিবির পোশাক নেই কেন? জানতে চাইলে বলেন, এটি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তদন্ত না করে কিছুই বলা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান