একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত করতে ঢাকায় মহানগর দক্ষিণে ১৩ সংসদীয় এলাকায় ১০০টি নির্বাচন সহায়ক টিম গঠন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকারের উন্নয়ন প্রচার ও বিএনপি জামায়তের নাশকতা তুলে ধরে নৌকার পক্ষে জনমত গঠন করবে।
বিগত দিনের মতো বিএনপি-জামায়াত যেন পেট্রোল বোমা হামলা-আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা করতে না পারে সে জন্যও মাঠে সতর্ক থাকবে এই কমিটি। কমিটির নেতাদের পরিচিত সভা হবে আগামী শুক্রবার। ওইদিন তাদের প্রয়োজনীয় দিকনিদের্শনা দেওয়া হবে। কমিটিতে যুবলীগ ছাড়াও এলাকার গণমাধ্য ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এ তথ্য জানিয়েছেন।
সুত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মূল দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদেরকে কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠনের নিদের্শ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জেলা-মহানগর নেতাদের চিঠি দিয়েছেন। একইভাবে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন। সে মোতাবেক যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক ঢাকা মহানগরসহ জেলা নেতাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিদের্শ দিয়েছেন। যুবলীগ চেয়ারম্যানের নিদের্শনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট তার অধীনে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানাকে এলাকা ভিত্তিক কমিটি গঠনের নিদের্শ দেন। গত দুই সপ্তাহে ১৩ টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় ১০০টি এলাকা ভিত্তিক নির্বাচনী টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিমের সদস্যরা কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি গঠন করবে। কমিটিতে যুবলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। ওই কমিটির নেতাদের নিয়ে আগামী শুক্রবার রাজধানীর অদূরে কেরানিগঞ্জে বনভোজন ও পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নিদের্শনায় আমরা ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ১০০টি এলাকা ভিত্তিক কমিটি গঠন সম্পন্ন করেছি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ওই কমিটির নেতারা নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করবেন। প্রার্থী যেই হোক, রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা। আমরা নৌকাকে বিজয়ী করতে মাঠে থাকবো। কমিটিতে যুবলীগ ছাড়াও এলাকার গণ্যমান্যদের সম্পৃক্ত করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুটি কারণে তাদের রাখা হয়েছে। প্রথমতো তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না-এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা আছে। বিএনপি-জামায়াত চক্র যদি আবার মানুষ হত্যার রাজনীতি, জ্বালাও পোড়াও করে তাহলে তাদের সঙ্গে নিয়ে জনসচেতনা সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী চক্রকে প্রতিহত করবো।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আরো বলেন, এলাকা ভিত্তিক কমিটির নেতাদের নিয়ে আগামী শুক্রবার কেরানিগঞ্জের শ্যামল বাংলা রিসোর্টে বনভোজন ও পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই পরিচিতি সভায় যুবলীগ চেয়ারম্যাম মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ উপস্থিত থাকবেন। ওইদিন তাদের প্রয়োজনীয় সব দিকনিদের্শনা দেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন