সরকারের অনুমতি না নিয়ে জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ড স্থাপন করলে দুই বছরের জেল ও সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বিল-২০১৮’ সংসদে পাস হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আজকের বৈঠকে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হেসেন আমু। এরআগে বিলের ওপর আনীত জনমনত, বাছাই কমিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবসমুহ কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে জাহাজ ভাঙার জন্য আলাদা ‘জোন’ ঘোষণা করার বিধান রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট জোনে ইয়ার্ড স্থাপন করতে হবে। এই ইয়ার্ডের মধ্যেই জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করতে হবে।
বিলে অনাপত্তি সনদ ছাড়া পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য জাহাজ আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল ও সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ছাড়পত্র ছাড়া জাহাজ সৈকতে আনলে বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করলেও একই বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া জাল সনদ দিয়ে কোনো সুবিধা নিলে কমপক্ষে ৫ লাখ ও সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, বোর্ড জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কাজ করার ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশনের শর্ত মানার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, স্টিল মিলের কাঁচামালের চাহিদার সিংহভাগ জাহাজ পুনঃপপ্রক্রয়াজাতকরণ শিল্প থেকে মেটানো হয়। এ শিল্পে কমর্রত শ্রমিক ও কর্মচারীদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা, উন্নত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, উপকূলীয় অঞ্চলের সামগ্রিক পরিবেশ সুসংহতকরণের লক্ষ্যে বিপজ্জনক বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ এ শিল্পটি একটি আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে পরিচালিত হওয়া আবশ্যক।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন