চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) ইস্যুর মাধ্যমে ৩৮ কোটি সাত লাখ চার হাজার ৫১৫ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
এর মধ্যে এমআরপি থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৩৬ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৩৩ টাকা এবং এমআরভি থেকে আদায় হয় এক কোটি ৭৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৮২ টাকা। ২০১৬ সালে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩৩ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা।
গত এক বছরে এক লাখ ২ হাজার ৫২০টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের ৯৬ হাজার ১০৭টি পাসপোর্ট হস্তান্তর করা হয়। ইস্যুকৃত পাসপোর্টের মধ্যে আছে- অফিসিয়াল ৫৬৪টি এবং সাধারণ এক লাখ এক হাজার ৯৫৬টি। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৭৬৪টি জরুরি এবং ৮৬ হাজার ১৯২টি সাধারণ।
তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায় না। পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফলে জরুরি ক্যাটাগরিতে জমা দেওয়া হলেও তা পেতে নির্দারিত সময়ের অনেক বেশি অপেক্ষা করতে হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আবু নোমান মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। এ ব্যাপারে পাসপোর্ট অধিদফতের নির্দেশনাও দেওয়া আছে। কিন্তু পাসপোর্ট সরবরাহের ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত কিছু দাপ্তরিক আনুষ্ঠাকিতা আছে, সেগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তা ইস্যু করতে পারি না। ফলে নির্ধারিত সময় থেকে অনেক সময় বেশি হয়ে যায়।’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর