.jpg)
এলাকাভিত্তিক ১০০ কমিটি গঠনের পর এবার কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। একই সঙ্গে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ, সরকারের উন্নয়ন প্রচার ও বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা রোধে যা যা করণীয় তা করতে প্রস্তুত থাকতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিদের্শ দিয়েছেন দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
আজ বরিবার দুপুরে কাকরাইলে এক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ১০০ টিমের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দক্ষিণের প্রতিটি এলাকায় নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নিদের্শনায় আমরা ঢাকা মহানগর দক্ষিণে ১০০টি এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করেছিলাম। আপনাদের দায়িত্ব সরকারের উন্নয়নগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ২০১৯ সালের নির্বাচন সামনে। এই নির্বাচন বানচাল করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। এ জন্য যুবলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনারা এখন ভোটের জন্য কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনে কাজ করুন। এলাকার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ও দলের জন্য 'কমিটেড' লোকজনদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করতে হবে। তারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে কাজ করবে।
দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট বলেন, আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের উদোগ নিয়েছে। আমরা দলকে সহায়তা করতে চাই। প্রতিটি কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টের তালিকা দলকে দিয়ে সহায়তা করবো। পাশাপাশি আমরাও পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারবো কিনা সেটা দলের সঙ্গে কথা বলবো। সাবির্কভাবে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে যা যা করণীয় তাই করা হবে। খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে দেবো না। যেখানেই নৈরাজ্য-সন্ত্রাস সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। এখন থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে সক্রিয় থাকবো।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে এবং রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, সরোয়ার হোসেন মনা, নাজমুল হোসেন টুটুল, দ্বীন মোহাম্মদ খোকা, আলী আকবর বাবুল, মাহাবুবুর রহমান পলাশ, এনামুল হক আরমান, মুরসালিন আহমেদ, খোরশেদ আলম মাসুদ, যুগ্ন সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূইয়া, মিজানুর রহমান বকুল, সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, ইব্রাহীম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক, উপ দপ্তর সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
জানা গেছে, সভায় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকারের উন্নয়ন প্রচার ও বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার চিত্র তুলে ধরে নৌকার পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করতে টিমের সদস্যদের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে বিগত দিনের মতো বিএনপি-জামায়াত যেন পেট্রোলবোমা হামলা, আগুন-সন্ত্রাস, নাশকতা করতে না পারে সেজন্য মাঠেও সতর্ক থাকতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ, ভোট কেন্দ্র ভিক্তিক কমিটি গঠন, মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন পেশাজীবী, পাড়া মহল্লার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আলাদা কমিটি গঠনের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন সামনে রেখে মূল দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জেলা-মহানগর নেতাদের চিঠি দিয়েছেন। একইভাবে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের কথাও জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক ঢাকা মহানগরসহ জেলা নেতাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যুবলীগ চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তার অধীনের প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানাকে এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করে।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব
