কুমিল্লার দেবিদ্বারে ফরিদা বেগম(৬২) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ধামতী গ্রামে। ফরিদা বেগম ধামতী গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী। মঙ্গলবার তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ফরিদা বেগম সকালে ঘরের দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা তাকে ডাকা-ডাকি করেও কোন সাড়া পাননি। পরে জানালা দিয়ে চকির একপাশে চিৎ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় ঘরের এক পাশে সিঁদকাটা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয়দের দাবি তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে, তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
দেবিদ্বার থানার এস.আই প্রেমধন মজুমদার বলেন, স্থানীয়দের তথ্যমতে গৃহবধূর কোন শত্রু ছিল না, অর্থ সম্পদও ছিল না, স্বামী নেই, ৫ কন্যার সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়েদের সহায়তায় তার সংসার চলে আসছিল। সম্পদ বলতে মেয়েদের পক্ষ থেকে মায়ের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য একটি মোবাইল ফোন সেট ছিল। তার স্বামীর আগের সংসারেও ২ কন্যা ছিল, তাদের মধ্যে বড় মেয়ে আয়শা এবং আয়শার স্বামী মনিরকে ঘর জামাই হিসেবে নিজ বাড়িতে রাখা হয়েছে। ঘরের এক পাশে সিঁদকাটা ছিল, এ সিঁদকাটা দিয়ে চোর ঢুকার কোন ব্যবস্থাও ছিল না। তার মেয়েদের দেয়া মোবাইল সেটটিও পাওয়া যায়নি, যদিও তার মৃত্যুর পর ঘরের দরজা ভেতর দিক থেকে সিটকানি লাগানো ছিল। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য ও মতবিরোধ থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব