নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতি নির্বাচনে ১৭ পদের বিপরীতে ১৬ পদেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯২৬ জন ভোটারের মধ্যে ৯১০জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের ১৭ জন ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলে বিজয়ী হলেন কার্যকরী সদস্য পদে আহসান হাবীব।
রাত সাড়ে ১২টায় ফলাফল ঘোষণার পর আদালতপাড়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাস শুরু করে। সমিতির আগের মেয়াদে ১৭ পদের বিপরীতে সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ ৬ পদে আওয়ামী লীগ এবং সহ-সভাপতিসহ ১১ পদে বিএনপির আইনজীবীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে বিএনপির বড় ধরনের পরাজয় ঘটে।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আহাম্মদ ভূইয়া, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট বিদ্যু কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. মাহাববুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান কাজল, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রাশেদ ভূইয়া ও আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূইয়া।
সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ও অ্যাডভোকেট হাসিবুর হাসান রনি।
এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যান আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে আদালতপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণায় বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।
বিজয়ী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া জানান, এমপি শামীম ওসমান বার নির্বাচনের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। তার দিক নির্দেশনায় সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে আমরা জয়ী হতে পেরেছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা